শিশুর মুখে রুচি ফেরাতে যা করবেন

শিশুর মুখে রুচি ফেরাতে যা করবেন

চলিত মৌসুমে কখনও ঠান্ডা, আবার ভ্যাপসা গরম। আবহাওয়ার এই খেলায় শিশুদের জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই আছে।এ সময়ে অধিকাংশ শিশু খেতে চায় না, তার ওপরে অসুস্থতার কারণে খাবারে অরুচি হয়। কিন্তু খেতে না পারলে পুষ্টিহীন শরীর রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তিও পায় না। তাই শিশু সন্তানের খাবারের দিকে নজর দিতে হবে।

এদিকে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুই থেকে তিন বছরের শিশুকে প্রতিদিন এক হাজার ৫০ ক্যালরি লাগে। আবার চার থেকে ছয় বছরের শিশুর প্রতিদিন ১২শ ৫০ ক্যালরি প্রয়োজন। এই বয়সের শিশুর স্বাভাবিক ওজন ১৬ থেকে ২০ কেজি। আর তিন বছরের নিচে হলে শিশুর স্বাভাবিক ওজন ১২ থেকে ১৪ কেজি। শিশুর ওজনের চেয়ে কম হলে, পুষ্টিগুণের সঙ্গে এমন খাবার দিতে হবে, যা ওজনও বাড়াতে সাহায্য করবে। অর্ধেক ডিম, ২৫ গ্রাম মাছ ও ২শ মিলিলিটার দুধ খেলেই দেড় থেকে তিন বছরের বাচ্চা প্রোটিন পেতে পারে। কিন্তু অসুখের পর-পরই মুখের রুচি ফেরাতে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।

কী পরিবর্তন আনতে হবে, আসুন তা জানি-

* ডিমের রোল বানিয়ে খাওয়াতে পারেন তিন বছরের বেশি বয়সের শিশুকে।

* রোগ হলে মাছের প্রতি অনীহা হয় অনেক শিশুর, তাই তাকে মাছ না দিয়ে তৈরি করে দিন মাছের টিকিয়া বা চপ।

* চিকেন স্যান্ডউইচ দিতে পারেন। আর চিকেন স্টু বানালে তাতে সবজি-মাখন দেবেন।

* আলুর মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। তাই শিশুর ওজন কম হলে তার ডায়েটে আলু দিতে পারেন। স্বাদ আনতে আলুকাবলি বা আলুর পরোটাও দিতে পারেন।

* ভাত বা রুটি খেতে না চাইলে সবজি দিয়ে ফ্রায়েড রাইস বানিয়ে দিন। ডিম দিয়ে সিদ্ধ মুগডালের খিচুড়িও রুচি ফেরায়।

* মরিচ ছাড়া যেকোনো মসলা শিশুর খাবারে মেশাতে পারেন। এতে খাবারে স্বাদ হবে।  

* বাহারি সবজি সিদ্ধ করে একটু মসলা দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। মাঝেমাঝে সবজি-পোলাও দিতে পারেন।

* দুই বছরের বেশি বয়সের শিশুদের লুচি বানিয়ে দিতে পারেন।

* বিভিন্ন ফল দিয়ে ফ্রুট সালাদ বানিয়ে দিন।

* শিশু যদি কিছুই খেতে না চায় তাহলে তাকে আইসক্রিম দিয়ে মিল্কশেক বানিয়ে দিতে পারেন। আইসক্রিমের মধ্যে দুধ ও মৌসুমি ফল দিতে পারেন। এই সময়ে শিশুরা একটু তরল খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখায়। মিল্কশেক কাজে দেবে। ক্যালরিও পাবে।

* অসুখের সময় শিশুদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে তার প্রয়োজনও মিটবে।

* ঘরে বানানো খাবার খাওয়াবেন শিশুকে। একইসঙ্গে শিশুকে এক ঘণ্টা খেলাধুলার মধ্যে রাখবেন। এতে তার খিদে বাড়বে ও ঘুম ভালো হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS