চুয়াডাঙ্গায় ইটভাটার শ্রমিক শান্তর মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন স্বজন ও গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে শহরের শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা।এসময় শান্তর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এর আগে গত সোমবার রাতে সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের হিমালয় অটো ব্রিক্স নামে একটি ইটভাটার বড় গর্ত থেকে শ্রমিক শান্তর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পরিবারের দাবি, তাকে হত্যার পর বড় গর্তের পানিতে ফেলে রাখা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মর্গ থেকে শান্তর মরদেহ নিয়ে শহরের শহীদ হাসান চত্বরে বিক্ষোভ করেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
এসময় স্বজনরা বলেন, কিশোর শান্তকে হত্যার জন্য নানাভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হতো। সোমবার সকালে সে ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে আর বাড়িতে ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই ইটভাটার পেছনের গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এর রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
পরে সেখানে মানববন্ধন করা হয়। এসময় পুলিশের আশ্বাসে গ্রামে ফিরে যান আন্দোলনকারীরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকাণ্ড কিনা এখনই নিশ্চিত না। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।