বোলারদের জন্য লড়াই করার মতো তেমন কিছু রাখেননি ব্যাটাররা। তবু একটি উইকেট নিয়ে ঠিকই ইতিহাস গড়ে ফেললেন ফজল হক ফারুকি।কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিতে নাম লেখালেন তিনি।
বিশ্বকাপ শেষ হতে অবশ্য এখনো দুই ম্যাচ বাকি। তাই ফারুকির রেকর্ডকে ভাঙার সুযোগ আছে অনেকেরই। কিন্তু ১৭ উইকেট নিয়ে ফারুকির যাত্রা থেমেছে এখানেই। আসরে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি আফগানিস্তান। নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৫৬ রানের সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে তারা।
বিদায় বেলায় আলাদাভাবে ফারুকির প্রশংসা করেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। বাঁহাতি এই পেসার তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের ছাপ রেখে যান টুর্নামেন্টে। প্রথম ম্যাচেই উগান্ডার বিপক্ষে স্রেফ ৯ রান দিয়ে শিকার করেন ৫ উইকেট। পরের ম্যাচে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেয় আফগানিস্তান। সেখানে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন ফারুকি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে আর কোনো বোলারই পরপর দুম্যাচে ৪ বা এর বেশি উইকেট নিতে পারেননি।
পাপুয়া নিউগিনিকে হারানোর ম্যাচে ১৬ রান খরচে ফারুকির শিকার ৩ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অবশ্য সফলতা পাননি বাঁহাতি এই পেসার। তবে সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে ঝুলিতে নেন তিনটি উইকেট। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শূন্য থাকলেও বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি করে উইকেট নিয়ে আসর শেষ করেন তিনি।
ফারুকির আগে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি ছিল ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। ২০২১ বিশ্বকাপে ১৬টি উইকেট নিয়েছিলেন লঙ্কান স্পিনার। ভেঙেছিলেন তারই স্বদেশি স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের (১৫ উইকেট) রেকর্ড।