ফুটবলের রেকর্ডবুকে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর নাম আছে বহু জায়গায়। তবুও ইউরো যেন আলাদা।টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এমন রেকর্ড খুঁজে পাওয়া মুশকিল- যেখানে নেই রোনালদোর নাম। ইউরোপ ছেড়ে এখন তিনি ক্লাব ফুটবল খেলছেন সৌদি আরবে। আল নাসরে খুব একটা প্রাদপ্রদীপের আলোয় আসা হয় না তার।
তবে আবারও নিজের ডেরায় ফিরছেন রোনালদো। চেক রিপালবিকের বিপক্ষে ইউরো শুরু করছে তার দল পর্তুগাল। এ ম্যাচের আগে রেকর্ডের পাতায় রোনালদোকে স্মরণ করা যাক আরও একবার।
ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার সর্বোচ্চ গোলদাতা এমন জায়গার তালিকাও লম্বা। সবমিলিয়ে ফুটবলে ৮৯৬, রিয়াল মাদ্রিদে ৪৫১, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৪৫১ আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৩০ গোল সবকিছুই নিজ নিজ জায়গায় সর্বোচ্চ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ২৫১ গোলও রোনালদোর ঝুলিতে।
ইউরোর সব রেকর্ডও প্রায় রোনালদোর দখলে। এবার ষষ্ঠ ইউরো খেলতে যাচ্ছেন তিনি, সবচেয়ে বেশি আসর খেলায় ছাড়িয়ে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদে তার সাবেক সতীর্থ ইকার ক্যাসিয়াসকে। একটি জায়গায় অবশ্য আগেই তাকে ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো।
পর্তুগাল তারকা নিজের খেলা আগের পাঁচটি আসরের সবগুলোতেই মাঠে নেমেছিলেন, ক্যাসিয়াস স্কোয়াডে থাকলেও খেলেছেন তিনবার। ইউরোতে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলার রেকর্ডও রোনালদোর দখলে। খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ২১৫৩ মিনিট।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা রোনালদো জয়ের সংখ্যাতে ছাড়িয়ে গেছেন বাকি সবাইকে, পর্তুগালের হয়ে ইউরোতে জিতেছেন ১২ ম্যাচ। অধিনায়ক হিসেবেও সবচেয়ে বেশি ১৬ ম্যাচ খেলেছেন রোনালদোই।
এই টুর্নামেন্টে গোলের সংখ্যাতেও অনুমিতভাবেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদো। পর্তুগিজদের হয়ে ১৪টি গোল করেছেন তিনি। তার পরে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্লাটিনির ৯ ও তৃতীয়তে থাকা গ্রিজম্যানের গোল ৭টি।
দুবার গোল্ডেন বুটের তালিকায় উপরে ছিল রোনালদোর নাম। ২০১২ সালে তিন গোল করেন ফার্নান্দো তোরেসের সমান। কিন্তু কম মিনিট খেলায় সেবার ট্রফি পান তোরেস। ২০২০ সালে ৫ গোলের সঙ্গে বেশি অ্যাসিস্ট করায় সেটি যায় রোনালদোর ঘরে।
এখন অবধি খেলা পাঁচ আসরের সবগুলোতেই গোল করেছেন রোনালদো। এই কৃতিত্বও নেই আর কারো। তার মতো ১০টি আলাদা ম্যাচেও গোল করতে পারেননি কেউ। এবারও গোল করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই নামতে হচ্ছে রোনালদোকে।
এর আগেই ২০১৬ সালে একবার শিরোপার দেখা পেয়েছেন তিনি। এবার আরও একবার ওই স্বাদ পেতে চাইবেন রোনালদো। দারুণ ফর্মেও আছেন তিনি। এ বছর সৌদি প্রো লিগে সর্বোচ্চ ৩৫ গোল এসেছে তার পা থেকে।
ইউরোর আগে নিজের চাওয়া জানিয়েছেন রোনালদো। তিনি বলেছেন, ‘আমি চেষ্টা করছি প্রতিটা ম্যাচ উপভোগ করার, যতগুলো আমি গোল করছি তাও। আমি জানি খুব বেশি বছর বাকি নাই কিন্তু এটা মজার কীভাবে সময়গুলো চলে যাচ্ছে আর আমি এখনও ৩৯ বছর বয়সী। ২০ বছর বয়সী থাকতে পর্তুগালের হয়ে ইউরোতে খেলাই ছিল স্বপ্নের মতো।