আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে বুয়েনস আইরেসের রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসে(সংসদে) বিতর্ক চলার সময় বাইরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।এ সময় কংগ্রেস ভবনের বাইরে দুটি গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।
গতকাল বুধবার (১২ জুন) নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা কংগ্রেস ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে মূল সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমাতে জলকামানের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ছুড়েছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা দেওয়া, ন্যুনতম অবসরকালীন ভাতা পাওয়ার সুযোগ সীমিত করা এবং রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাসহ কয়েক ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়াসহ অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেই।
এই বিল নিয়ে কংগ্রেসের ভেতরে সিনেটরদের মধ্যে তুমুল বিতর্কের পর মূল বিলটি বিরোধিরা প্রত্যাখ্যান করেন। প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবটি পক্ষে-বিপক্ষে ৩৬টি করে ভোট পড়ে। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিলারুল প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়ে প্রস্তাবটি পাসে সহয়তা করেন। এই ভোট দিয়ে গিয়ে তিনি বলেন, আমার এই ভোট ভুক্তভোগি আর্জেন্টাইনদের জন্য, যারা তাদের সন্তানদের দেশ ছেড়ে যেতে দেখতে চায় না।
আর্টিকেল-৩২৮ এর এই বিলটি এখন পয়েন্ট বাই পয়েন্ট পর্যালোচনা করা হবে এবং পুনঃঅনুমোদনের জন্য সংসদের নিম্নকক্ষে পাঠানো হবে। খবর বিবিসি
এদিকে আর্জেন্টিনার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংবাদমধ্যমকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এই সময় নয়জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছে, পেপার স্প্রের কারণে সাতজন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনই আর্জেন্টাইন সংসদের সদস্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই বিক্ষোভকে অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টা অবিহিত করে লিখেছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো লাঠি, পাথর, এমনকি গ্রেনেড নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন।