ঘর শুধু মাথা গোঁজার ঠাঁই নয়। ঘর মানে বেঁচে থাকা, স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পঞ্চম ধাপে খাগড়াছড়ির আরও ৮৬০টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে সরকারি ঘর উপহার দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের মতো খাগড়াছড়ির উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘর হস্তান্তর করবেন।
সরকারের পক্ষ থেকে নতুন ঘর উপহারে খুশি অসহায় পরিবারগুলো। তাদের জীবনে যেন নতুন সম্ভাবনার সূচনা হয়েছে।
সুবিধাবঞ্চিত এসব মানুষ এবার থেকে থাকবেন দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমি পাকা ঘরে। যেখানে তাদের নুন আনতে পানতা ফুরাতো, সেখানে এমন পাকা ঘর পাচ্ছেন বলে খুশি অসহায় এ মানুষেরা।
দীঘিনালার বাঁছা মেরুং এলাকায় মোহাম্মদ আব্দুল আলী নতুন ঘর পাচ্ছেন। সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও তিন বছরের ছেলে নিয়ে নতুন ঘরে উঠছেন। তিনি বলেন, আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ভাড়া বাসায় থেকে কোনো রকম সংসার চালাচ্ছিলাম। সরকার আমাদের যে ঘর দিচ্ছে, তা আমি কখনো তুলতে পারবো না। আমার ঘর নিয়ে আর চিন্তা নেই। যা কামাবো তা দিয়ে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো।
সুবিধাভোগী সোমিত্র চাকমা বলেন, আগে ছিলাম বেড়ার ঘরে। বর্ষাকালে ভেতরে পানি ঢুকতো। নতুন ঘর তুলবো সে সামর্থ্য ছিল না। এখন সরকারের পক্ষ থেকে পাকা ঘর পাচ্ছি। এখন পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে আছি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
পঞ্চম ধাপে খাগড়াছড়ি সদরে ২৮, মহালছড়িতে ১১৯, দীঘিনালায় ২০০, পানছড়িতে ৬৫, রামগড়ে ৮১, গুইমারায় ১২৫, মাটিরাঙ্গায় ৬৫, মানিকছড়িতে ১০০ এবং লক্ষীছড়িতে ৭৭টি ঘর উপহার দেওয়া হবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে অসহায় পরিবারগুলো নিজেদের ঘর পাবে। সরকারের দেওয়া মানসম্মত ও টেকসই এসব ঘরে অসহায় পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার মান আরও বাড়বে। বিদ্যুৎ, পানি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য বিভিন্ন দপ্তর মিলে আমরা কাজ করছি।
জেলায় এখন পর্যন্ত সাত হাজার ৫৪৯টি পরিবারকে সরকারি ঘর দেওয়া হয়েছে।