রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (৫ জুন) অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান লেকে অবৈধ পয়োবর্জ্যের সংযোগ দেখতে পান।এ সময় তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কলাগাছ দিয়ে অবৈধ সংযোগ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরে মেয়রের উপস্থিতিতেই তাৎক্ষণিক সংযোগটিতে কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরের প্রায় সব ভবনেই এয়ার কন্ডিশন (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) লাগানো আছে, জেনেরেটর লাগানো আছে। সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঘর ঠান্ডা করার জন্য এসি লাগাচ্ছে কিন্তু অনসাইটে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা করার বিষয় কেউ চিন্তা করছে না। নির্বিচারে শহরের খালে, ড্রেনে সুয়ারেজের সংযোগ দিয়ে পানি, বায়ু দূষণ করছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এসব অবৈধ সংযোগ বন্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। গত বছর আমরা গুলশান ও বারিধারায় একটা সার্ভে করেছিলাম। বেশিরভাগ বাড়িতেই সুয়ারেজ ব্যবস্থা নেই। মাত্র ৫ শতাংশ বাড়িতে কমপ্লায়েন্স পেয়েছি। বেশিরভাগ বাড়ির পয়োবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে, খালে দিয়ে রেখেছে। আমি অনেকগুলো ভবনে অবৈধ সংযোগ বন্ধে কলাগাছ দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা এ বছর আবারও অভিযান শুরু করবো।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এ শহরকে ভালোবাসতে হবে। শহরের রাস্তা, খাল, ড্রেন যেন নোংরা না হয় এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। যার বাড়ির সামনের গাছ দেখে রাখতে হবে। আমরা দেখি দোকান সকালে শুরু করার সময় সবাই ঠিকই ঝাড়ু দেয়। কিন্তু ঝাড়ু দিয়ে ময়লা রাস্তায় ফেলে দেয়। এটা ঠিক না। আমি অনুরোধ করবো প্রতিটি দোকানের সামনে ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখবে। দোকানের ও মার্কেটের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা অবাক হয়ে যাই প্রতিনিয়ত নানা ধরনের ময়লা নির্বিচারে সবাই ফেলে দিচ্ছে খালে ও ড্রেনে। ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন খাল থেকে উদ্ধার করা পরিত্যক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিত্যক্ত লেপ, তোশক, সোফা, লাগেজ, খাট, ক্যাবল, টায়ার, কমোড, ফুলের টব, রিকশার অংশবিশেষ, টেবিল, চেয়ার, বেসিন, ব্যাগ, প্লাস্টিকের বিভিন্ন পাত্রসহ নানা পরিত্যক্ত পণ্য। গুলশান লেক থেকে বাথ ট্যাবও পেয়েছি। এমন কিছু নেই যা খালগুলোতে পাওয়া যায় না। সবাইকে ম্যাসেজ দেওয়ার জন্যই এ আয়োজন করেছি।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে একটি গাছ রোপণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসি, গুলশান সোসাইটি ও সিটি ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় গুলশান এলাকায় মোট ৫ হাজার গাছ রোপণ করা হবে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর মোছা. হাজেরা খাতুন ও আমেনা বেগম।