নরসিংদীর পলাশ উপজেলার একটি মহিলা মাদরাসার শিক্ষক মো. আব্দুর রহিমকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সাওরাইদ গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। সে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের স্থানীয় একটি মহিলা মাদরাসার শিক্ষক। আর ভুক্তভোগী ছাত্রী একই মাদরাসার ছাত্রী।
ভুক্তভোগী মাদরাসা ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসার ভেতরে থেকে পড়া লেখা করে আসছে। সোমবার (৩ জুন) আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাদরাসার ভেতরে মেয়েকে পড়ানোর কথা বলে ডেকে নেন তার শিক্ষক আব্দুর রহিম। পরে তিনি আমার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
এতে ভয় পেয়ে আমার মেয়ে ডাকচিৎকার শুরু করলে লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে আব্দুর রহিম। শিক্ষকের এমন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে আসে। পরে বাসায় সে কান্না শুরু করে। আমি তা দেখে তার কাছে কান্না করার কারণ জানতে চাইলে সে এ ঘটনার বিষয়টি আমাকে জানায়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা আরও বলেন, এক মাস আগেও আমার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু শিক্ষক আব্দুর রহিমের পিটুনি খাওয়ার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।