বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে বলেছেন, বিমসটেকের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতায় সংস্থাটি নতুন শক্তি যোগাবে।
সোমবার (৩ জুন) বিমসটেক সচিবালয়ে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিকাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিমসটেক মহাসচিব জানান, থাইল্যান্ডে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। সম্মেলনে উল্লেখযোগ্য ফল আসবে বলে আশা করি। একইসঙ্গে বিমসটেকের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের নির্দেশনাও নির্ধারণ করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আসন্ন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সমুদ্র পরিবহন খাতে সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ সম্মেলনে সমুদ্র পরিবহন খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিমসটেক রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিতে পারে কি না, জানতে চাইলে মহাসচিব বলেন, এ ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাধ্যমে কীভাবে সমাধান করা যায়, সেদিকেই নজর দেওয়া প্রয়োজন। বিমসটেক নেতারা বিগত সম্মেলনে যেসব এজেন্ডা নির্ধারণ করে থাকেন, তা নিয়েই আমরা কাজ করি। যেকোনো ইস্যুতে নেতাদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
ইন্দ্র মণি পান্ডে জানান, বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোতে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন লোক বাস করেন, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। সে কারণে সংস্থাটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।
১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংককে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বিমসটেক গঠিত হয়। পরে এ সংস্থায় যুক্ত হয় নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার।