ওজন ঝরাতে আপেল সিডার ভিনিগার খান?

ওজন ঝরাতে আপেল সিডার ভিনিগার খান?

ওজন কমাতে এখন অনেকে আপেল সিডার ভিনিগারের ওপরেই ভরসা রাখেন। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে জনপ্রিয় এই টনিক।রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। সৌন্দর্য রক্ষায়ও কাজে লাগে এটি। কিন্তু ভিনিগার অম্ল হওয়ার কারণে তা দৈনিক খাদ্যতালিকায় যোগ করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিয়ম পালন করা জরুরি।

দিনে ১৫ মিলিলিটার বা বড় চামচের এক চামচের বেশি আপেল সিডার খাবেন না, খেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় আপেল সিডার খেলে এর অম্ল গুণ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে দিতে পারে। এছাড়া যখনই এই ভিনিগার খাবেন, তা অবশ্যই পানির সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে খেতে হবে। এক্ষেত্রে এই পানীয়তে অন্য কিছু ভুলেও মেলাবেন না।

বদহজমের সমস্যা থাকলে সকালে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার যেতে পারে। সকালে এই পানীয় খেলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর হবে। তবে সকালে খালি পেটে এটি খেলে এর গন্ধে অনেকের বমি বমি ভাব হয়। সেক্ষেত্রে হালকা খাবারের পরে এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে।

ডায়াবেটিসের সমস্যায় এই ভিনিগার উপকারী। মূলত ইনসুলিন তৈরি করতে না পারা বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্টের কারণেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে। খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আপেল সিডার মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। গলা ব্যথা কিংবা টনসিলের সমস্যা থাকলে রাতে ঘুমনোর আগে এক কাপ গরম পানিতে আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে রাতের বেলা ভুলেও এটি খাবেন না।

ওজন ঝরার ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার আধ ঘণ্টা পরে এই পানীয় খেলে বেশি উপকার পাওয়া যেতে পারে। এই পানীয় বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজম ভালো হয়। শরীরের মেদ দ্রুত ঝরাতে এই উপায়ের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ও ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে আপেল সিডার ভিনিগার খুবই উপকারী।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS