প্রথম সেশনের শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তখন উইকেট না হারানোর স্বস্তি ছিল।যদিও পরের সেশনেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। এখন তাদের জন্য অনেকটাই হারের অপেক্ষা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করে বাংলাদেশ। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৭৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৩২ রান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এদিন সকালেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার সঙ্গী প্রবাথ জয়াসুরিয়াও সঙ্গ দেন দারুণভাবে।
মিডল স্টাম্পে পড়ার পর টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলটি পেছনের পায়ে ভর করে খেলতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাথুস। ফিফটি করা শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান বোল্ড হন সাকিব আল হাসানের বলে। চতুর্থ দিনে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য।
এরপর ইনিংস ঘোষণা করে দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। বাংলাদেশের সামনে দাঁড়ায় ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য। টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়েই তাই জিততে হবে বাংলাদেশকে। ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১৩ রান বাংলাদেশের চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ।
সেশনের বাকি সময়ে ৮ ওভার ব্যাট করে বাংলাদেশ, করেছে ৩১ রান। এর মধ্যেই প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন জাকির হাসান। ২৪ বলে তার রান ১১। মাহমুদুল হাসান জয় অপরাজিত আছেন ২৪ বলে ১৯ রানে।
প্রথম সেশনে উইকেট না পেলেও দ্বিতীয়টিতে গিয়ে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে। প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলে পিছিয়ে গিয়ে কাট করতে গিয়েছিলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু তিনি শট খেলেন দেরিতে, হয়ে যান বোল্ড। ৩২ বলে ২৪ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
পাঁচ ওভার পর আরেক ওপেনার জাকির হাসানও আউট হন। ৩৯ বলে ১৯ রান করে স্লিপে ক্যাচ দেন বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে। ৩৯ বল খেলে ১৯ রান করেন তিনি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে রান পাননি এই ম্যাচেও।
৫৫ বলে ২০ রান করে লাহিরু কুমারার দুর্দান্ত বলে হয়ে যান বোল্ড। আশার আলো হয়েছিলেন কেবল মুমিনুল হক। এই ব্যাটার তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু চা বিরতির আগেই সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ বলে ৫০ রান করে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন মুমিনুল।
চা বিরতির আগে শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বলে শূন্য রানে অপরাজিত আছেন লিটন। ১৭ বলে ১৪ রান এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে।