এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই মিরপুর-১০ ও আশেপাশের ফুটপাত থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মার্কেট উচ্ছেদ করা হয়েছিল। তবে আবার ফিরে এসেছেন এ ব্যবসায়ীরা।নিম্নআয়ের লোকেদের ঈদ কেনাকাটায় ভরসা ফুটপাতের এ মার্কেট আবারও জমে উঠতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফুটপাতের এ মার্কেট গোলচত্বর থেকে পূর্বে মিরপুর-১৩ নম্বরের বাসস্ট্যান্ড, পশ্চিমে সনি সিনেমা হল এবং দক্ষিণে আল হেলাল হাসপাতাল পর্যন্ত বিস্তৃত। সুই-সুতা থেকে শুরু করে মাঝারি দামের স্যুট পর্যন্ত এ মার্কেটে পাওয়া যায়।
দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় বিশেষ করে নিম্নআয়ের লোকেরা ফুটপাতে ভিড় জমান। সব বয়সের নারী-পুরুষের উপযোগী পোশাক রয়েছে মার্কেটের দোকানগুলোতে। শুক্রবার বিকেলে এ মার্কেটে ভিড় বাড়তে থাকে। ক্রেতাদের ঈদের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, প্রসাধনী ও গহনা কিনতে দেখা যায়।
এ মার্কেটে আসা সালমা খাতুন একটি অফিসের বড় নারী কর্মকর্তার সম্তানকে দেখাশোনার চাকরি করেন। ছুটি পেয়ে মার্কেটে এসেছেন কেনাকাটা সারতে। ফুটপাত ঘুরে ঘুরে কাপড় দেখছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রতিবারই পোশাক কিনি এখান থেকে। অনেক দোকান। পাঁচটি দেখে একটি থেকে কিনি। দামও কম। ভালই হয়। দুটি কিনেছি, আরও দুটি কিনব। ঈদে বাড়ি যাবো। নিজের পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের জন্যও কিছু কেনাকাটা করতে হবে।
আশুলিয়া থেকে সস্ত্রীক আসা সোলায়মান হোসেন একজন শ্রমিক। তিনি বলেন, এখানে গরিবের জন্য সব রকমের কেনাকাটার ব্যবস্থা রয়েছে। এজন্য এসেছি। আগে মিরপুরে ছিলাম। সেজন্য মিরপুরের এ মার্কেট থেকেই কেনাকাটা করি। এবারো এসেছি।
হাতের পলিথিন ও কাগজের চারটি ব্যাগ দেখিয়ে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির আগে সময় পাব না। এজন্য সব কেনাকাটা করছি। এখন প্যান্ট কিনব।
ফুটপাতের মার্কেটে অনেকে আবার ঘুরতেও এসেছেন। না কিনলেও ঘুরে ঘুরে তারা পণ্য দেখছেন। শ্রমজীবীদের উপস্থিতি এ মার্কেটে বেশি হলেও মধ্যবিত্তদের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিও বেশ। স্থানীয় কলেজের ছাত্র আমিরুল ইসলাম এসেছেন গেঞ্জি কিনতে। ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন দোকানে। তিনি বলেন, অন্যান্য কেনাকাটা করেছি। এখান থেকে কয়েকটি গেঞ্জি কিনব।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসন তুলে দেওয়ার পরে ক্রেতারা মনে করেছিলেন এখানে আর মার্কেট বসবে না। তারা কম আসছেন। এ কারণে ফুটপাতে মার্কেট পুরোপুরি জমেনি। মানুষের কাছে খবর পৌঁছে গেলে পুরোপুরি জমে উঠবে এ মার্কেট।