চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তারা।তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। তবে তিন নেতা-কর্মীকে জামিন দেন আদালত।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের ৬৮ জন নেতা-কর্মী আদালত প্রাঙ্গণে এলেও হাজিরা না দিয়েই চলে যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতের এ নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) তাদের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এসময় জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার এদের মধ্যে তিনজনকে জামিন ও বাকি ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ৬৮ জন নেতা-কর্মী আদালতে হাজিরা না দিয়ে চলে যান।
বিএনপিপন্থি আইনজীবী অ্যাড. শাহজাহান মুকুল জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফের অভিযোগ, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।
জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন জানান, নাশকতার মামলায় ৫০ আসামি হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ মামলায় আরও যারা আসামি আছেন তাদের হাজির হওয়ার সময় ৩১ মার্চ পর্যন্ত আছে। এর মধ্যে যদি তারা হাজির না হন, তাহলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে।