৫ কেজির বেশি ওজনের একটি তরমুজ মাত্র ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে তাও আবার রাজধানী ঢাকায়, শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনা সত্যি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) খামারবাড়ি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ দামে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যায়।প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) উদ্যোগে তরমুজ বিক্রির এ কার্যক্রম চলবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ স্লোগানে বাংলাদেশ এগ্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) খামারবাড়িতে তরমুজ বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেছে।
শুধু খামারবাড়ি নয়, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন ও পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকাতেও এ কার্যক্রম চলছে এবং পরবর্তীতে বিক্রির পরিসর আরও বাড়ানো হবে বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব স্থানে ৫ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, ৭ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, ৯ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে বেলা বেলা সোয়া ১১টার দিকে খামারবাড়ি বঙ্গবন্ধু চত্বরে দেখা যায়, একটি পিকআপ ভ্যানে করে শুধু পাঁচ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বড় তরমুজগুলো ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই শেষ বলে জানান বিক্রেতারা।
পিকআপ ভ্যানে তরমুজ বিক্রির দায়িত্বে থাকা রিয়াজ নামে একজন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এখানে তরমুজ বিক্রি করা হবে। বর্তমানে এক গাড়ি তরমুজ বিক্রির জন্য আনা হচ্ছে। চাহিদা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে হয়তো আরও বেশি তরমুজ আনা হবে।
বাংলাদেশ এগ্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) সভাপতি একেএম নাজিব উল্লাহ্ গণমাধ্যমকে বলেন, কৃষক দাম পাচ্ছে না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন এমন খবর এখন গণমাধ্যমে প্রায়ই প্রকাশ পাচ্ছে। কয়েক দিন ধরে আমরা সংবাদপত্রে দেখছি, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এ লক্ষে বাফা কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
খামারবাড়ি এলাকায় তরমুজ কিনতে আসা জব্বার নামে একজন রিকশাচালক বলেন, তরমুজের দাম বেশি তাই আগে কিনতে পারিনি। ছেলেমেয়েদের জন্য আজকে বছরের প্রথম একটা তরমুজ ১০০ টাকায় কিনছি। আমাদের জন্য এমন উদ্যোগ অনেক ভালো।
রহিম শেখ নামে আরেকজন বলেন, সরকারি-বেসরকারি সবাই মিলে এ ধরনের উদ্যোগ নিলে একদিকে কৃষক দাম পাবে, আরেকদিকে আমরাও ন্যায্য মূল্যে তরমুজ কিনে খেতে পারব।