নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেটে জমে উঠেছে কেনাকাটা। সে সঙ্গে ফুটপাতের দোকানেও ভিড় বেড়েছে।কেনাকাটায় তুলনামূলকভাবে নারী ক্রেতাদের সমাগম বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মার্কেট ও দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ভিড়। শহরের দোকানগুলো রাত ১টা পর্যন্ত জমজমাট থাকছে।
বাজারে পরিবার নিয়ে পোশাক কিনতে আসা সমসের আলী জানান, রমজানের শেষের দিকে বাজারে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে তারা আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। তবে তার অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। ঈদের বাজারে ভালো কাপড় পাওয়া যায় এ আশায় কাপড় কিনতে আসা হিন্দু ধর্মের শ্যামলী রানী জানান, পুজার জন্য আগেই কাপড় কিনে রাখছি।
বিক্রেতারা জানান, ঈদ ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়া কাট, নায়রা ও আলিফ লায়লা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে বোম্বে সিল্ক, সিকোয়েন্স, সুলতান ও সুলতান কিং পাঞ্জাবি বেশি সাড়া ফেলেছে।
সৈয়দপুর সাজু ক্লথ স্টোরের সাজু আহমেদ জানান, এ বছর ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে থাকা মেয়েদের আলিয়া কাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। আর ছেলেদের সিকোয়েন্স পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়।
সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সাগর বলেন, রোজার শুরু থেকে ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে। পোশাকের পাশাপাশি নারী ক্রেতারা প্রসাধনের দোকানেও ভিড় করছেন।
শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কের প্রসাধন ব্যবসায়ীরা জানান, এবার ক্রেতা বেশি, কেনাবেচাও বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা বেচাকেনা চলছে। এ ছাড়া বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্ত বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। মার্কেটগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাদা পোশাকেও পুলিশ নজরদারি করছে।