বগুড়ায় চোর সন্দেহে আটক দুজন হাতকড়াসহ পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পালানোর ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পলাতক দুজনের মধ্যে পুলিশ একজনকে আবার আটক করেছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ।
যাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- বগুড়া শহরের উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানা এবং কনস্টেবল মাহবুব আলম, একরামুল হক ও মানিক রতন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সোহেল রানা, কনস্টেবল একরামুল হক ও মানিক রতন নিশিন্দারা এলজিইডি অফিসের সামনে জনগণের হাতে চোর সন্দেহে আটক মোহাম্মদ আলী (২৮) ও মিঠু মিয়া ওরফে ফারুককে (২২) নিজেদের হেফাজতে নেন। পরে তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয। সেখানে দুজনকে হাতকড়া পড়িয়ে দায়িত্বরত কনস্টেবল মাহবুব আলমের হেফাজতে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতকড়াসহ মোহাম্মদ আলী ও মিঠু পালিয়ে যান। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রোববার (২৪ মার্চ) রাতে মোহাম্মদ আলীকে আদমদিঘী উপজেলা থেকে হাতকড়াসহ আবার আটক করে পুলিশ। মিঠু এখনো পলাতক।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশ সুপারের আদেশে রোববার রাতে চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। মিঠু মিয়া ও মোহাম্মদ আলীর নামে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাহমুদুর রশিদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।