হিলিতে কেজিতে ২০ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম

হিলিতে কেজিতে ২০ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম

তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।  

মোকামগুলোতে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা।  

আজ সোমবার (১৮ মার্চ) হিলি বন্দরের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিন আগেও দেশীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

একদিকে দাম কমায় বেশ খুশি সাধারণ ক্রেতারা। অন্যদিকে হঠাৎ সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে দাম কমায় কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের অনেকের।  

হিলির খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নবিউল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকার কাছাকাছি ছিল পেঁয়াজের দাম। আজকে ৫০ টাকা দরে এক পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ কিনেছি। আমদানি বন্ধ হওয়ার পর থেকে পেঁয়াজের দাম দিন দিন বেড়েই চলছিল। কিন্তু এখন দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কমছে। আর আমদানি শুরু হলে আরো দাম কমতে পারে।  

বাজার মনিটরিং করলে সব ধরনের পণ্যের দাম সীমাবদ্ধতা থাকবে বলো জানান তিনি।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজবিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, আমরা পাইকারি বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আগের তুলনায় বিক্রি কমে গেছে।

হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজবিক্রেতা রুবেল হোসেন।  

তিনি বলেন, তিন দিন আগে মোকামে ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা মণ কিনেছি। সেই পেঁয়াজেই তো এখনও অনেকে বিক্রি করতে পারিনি। কিন্তু বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে করে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান গুনছি।  

এদিকে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের বাজারেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। শহরের বাহাদুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চারদিন আগে ও দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। সোমবার দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS