সদ্য সমাপ্ত জেলার ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য শাহ মো. শাহাবুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) রাতে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত শাহ মো. শাহাবুল আলম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও সভাপতি।
সূত্র জানায়, বিগত ৯ মার্চ ত্রিশাল পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন পৌর বিএনপি নেতা ও উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিন সরকার। এ ঘটনার একদিন পর গত ১০ মার্চ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইজুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে নবনির্বাচিত মেয়র আমিন সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এরপরই বিগত ১৩ মার্চ দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল নেতা শাহ মো. শাহাবুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় যুবদল। পরে ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ মার্চ সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব জমা দেন এ যুবদল নেতা। এরপর ১৭ মার্চ রাতে এ বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।
এদিকে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কমপক্ষে ১০ বার গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করা শাহাবুলের বহিষ্কারের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলীয় অনুসারী ও নেতাকর্মীরা। শাহাবুলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে রাতেই ত্রিশাল পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এসময় বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে দল ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে তার কুশপুতুল দাহ করেন।
এ বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ রনি, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, তাঁতিদলের আহ্বায়ক প্রকৌশলী মামুন সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম পারভেজ, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মো. ইউসুফ, যুবদলনেতা ফরহাদ, সুমন, রায়হান সরকার, মুক্তা, আনিস, শাখাওয়াতসহ অনেকে।