ইলিয়াস কাঞ্চন হচ্ছেন সবচেয়ে বড় একটা প্ল্যানবাজ লোক। একুশে পদক পাওয়া একজন স্মরণী-বরণীয় মানুষ- তিনি আমাদের সবার সিনিয়র।যতই কান্নাকাটি করুক না কেন, এইসব ঝামেলার দায়িত্ব কিন্তু উনার ঘাড়ে নিতে হবে। ’
বুধবার (০৬ মার্চ) গণামধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন সম্পর্কে এসক কথা বলেন জায়েদ খান।
মূলত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আসন্ন নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নতুন করে সামনে আসছে পুরনো বিতর্কিত ইস্যু। এবার বিভিন্ন কারণে সদ্য বিদায়ী সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে দুষলেন তিনি।
২০২২ সালের নির্বাচনে সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে সেই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে কে জয়ী হয়েছেন, তা নিয়ে বাঁধে বিতর্ক। শেষমেশ জটিলতা অবসানে আদালতের দ্বারস্ত হন দুই প্রার্থী নিপুণ আক্তার ও জায়েদ খান। যদিও উচ্চ আদালতে বিষয়টি এখনও বিচারাধীন।
সেই নির্বাচনের পর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে একটি টক-শোতে অংশ নিয়েছিলেন জায়েদ খান। সেসময়ের স্মৃতিচারণ করে এই চিত্রনায়ক বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে চ্যানেল আইতে একসঙ্গে একটা অনুষ্ঠান করেছিলাম। তো তাকে (কাঞ্চন) আমি কল দিয়ে বললাম, কাঞ্চন ভাই চলেন আমরা শপথ করি। বললেন, দুই-তিনদিন ওয়েট (অপেক্ষা) করি। আমি বললাম, ওয়েট করার দরকার কী! চলেন আমরা শপথ করে ফেলি? তিনি এই দুই-তিনদিন সময় দিয়েছেন মুহাম্মদ হোসেনকে। সে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘুরে চিঠি এনে এই নোংরামিটা করলেন। নির্বাচিত একটা ছেলে চেয়ারে বসতে পারলেন না।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জায়েদ আরো বলেন, আমার মনে হয় না কাঞ্চন ভাই কোনোদিন সমিতির গঠনতন্ত্র পড়ছেন! তাকে জিজ্ঞেস করবেন, কোন ধারায় কী আছে? তিনি বলতে পারবেন না। আর আমাকে জিজ্ঞেস করেন কোন ধারায় কী আছে, সব মুখস্থ।
এদিকে, সম্প্রতি শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। এ নিয়েও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তা ছাড়া এর আগে সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাতিল করা হয়েছিল চিত্রনায়িকা সুচরিতা ও চিত্রনায়ক রুবেলের সদস্যপদ।
এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে জায়েদ বলেন, সুচরিতা ও রুবেল ভাইয়ের যে সদস্য ও কার্যকরী পদ স্থগিত করা হয়েছিল, সেটাও অবৈধ। কেন বলি? কারণ চিঠি দিয়েছিল নিপুণ। তখন রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপা বলেছিলেন, ‘আপনি তো সেক্রেটারি না, আপনি আমাকে চিঠি দিতে পারেন না। এই পদ নিয়ে মামলা চলমান। অতএব আপনার নোটিশে আমি মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারি না। এতে মহামান্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের অবমাননা হয়। ’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শিল্পী সমিতির পিকনিকে ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন তিনি। তার মতে, শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার কথা ভুলে গেছেন সদস্যরা। এ ছাড়া বর্তমান কমিটির কার্যক্রম ও সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যে কারণে আগামী নির্বাচনে আর অংশ নেবেন না তিনি।
এদিকে, নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে জায়েদ খানেরও রয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ সমিতির সদস্য পদ হারিয়েছেন তিনি।