পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমএ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।এ সময় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, মজিবুর রহমান মজনু, বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বিজেএমএ চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পাট আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল। কিন্তু আমাদের গর্বের পাট অনেকটা হারিয়ে গিয়েছিল। তবে, বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পাটশিল্পের বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে আরও উৎসাহিত করা হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে সফল হতে পারব। আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। পাটশিল্প এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য যা যা করণীয়, তাই করা হবে। আপনাদের কর্মচাঞ্চল্য, মেধা-মস্তিষ্কের সম্মিলনে পাটপণ্যকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে তৈরি করতে সক্ষম হব।
সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি। খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে। এ মেলায় আমার অংশগ্রহণের ফলে আমি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি, এ মেলার অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে সকালে নানক মতিঝিলে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা পাটের জীবন রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে পাটের তৈরি সোনালী ব্যাগ তৈরি করতে পেরেছেন। পাট থেকে সোনালী ব্যাগের উৎপাদন কত দ্রুত করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমেই পাটশিল্পকে আমরা লাভজনক করতে পারব।