খুলনার রূপসা উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জুলুম-নির্যাতন ও দুর্দিনের মধ্যে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন বাদশা ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বিঘ্নে প্রার্থী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের সুযোগ দেওয়া হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩০০ আসনের মধ্যে ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হন। খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক হুইপ এস,এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এস, এম মোর্তজা রশিদী দারা নির্বাচন করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী বিজয়ী হন।
বিজয়ী হওয়ার পর পরই এমপি সালাম মুর্শেদীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে খুলনা-৪ আসনের ভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী পক্ষে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন, রক্তাক্ত জখম এবং তাদের সম্পদ ও ব্যবসা লুট ও দখল করা হয়। যা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোর্তজা রশিদী দারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আপনাদের সহযোগিতায় প্রশাসনসহ দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছেন।
এমপি সালাম মুর্শেদী ১৫ ফেব্রুয়ারি খুলনা আসেন এবং খুলনা-৪ আসনের রূপসা, তেরখাদা এবং দিঘলিয়া উপজেলা ব্যাপী বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫,১৬,১৭ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি তার অনুসারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং বক্তব্য দেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নের সভায় প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যে সমস্ত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের অশ্লীল ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। তাদের পদ-পদবি খেয়ে ফেলার শুধু হুমকিই দেননি, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীরপক্ষের নেতাদের সালাম দিতেও জনগণকে নিষেধ করেছেন।
কামাল উদ্দিন বাদশা আরও বলেন, এমপি সালাম মুর্শেদী আইচগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন। এমপি উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মীরজাফর, কুকুর ইত্যাদি বলে গালি দিয়েছেন। তিনি রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান, রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের বারবার নির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন বাদশাকে প্রকাশ্য সভায় রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এমপির এ ধরনের বক্তব্য স্বাধীনতার মহান সৈনিকদের শুধু অপমানিত করেননি তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিতর্কিত করেছেন। মূলতঃ তার অতীতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি স্বাধীনতার বিপক্ষের একজন মানুষ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককেও মীরজাফর বলতে পিছপা হননি।
কামাল উদ্দিন বাদশা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খুলনা-৪ আসনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে এমপি সালাম মুর্শেদীর কার্যকলাপ পরিবর্তন করার দাবি জানান।