সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্পিন বান্ধব হয়ে উঠছে পিচ। যার সুযোগ বেশ ভালোভাবেই নিলেন ইংলিশ স্পিনার শোয়েব বশির।তার অফ স্পিনের ভেলকিতে চাপে থেকেই রাঁচি টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ভারত। এখনো ১৩৪ রানে এগিয়ে থাকায় চালকের আসনে রয়েছে ইংল্যান্ডের।
৭ উইকেটে ৩০২ রান নিয়ে দিন শুরু সফরকারীরা গুটিয়ে যায় ৩৫৩ রানে। আগের দিন সেঞ্চুরি করা জো রুটকে আউটই করতে পারেনি ভারত। ২৭৪ বলে ১০ চারে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে ওলি রবিনসনের ব্যাট থেকে। অষ্টম উইকেটে রুটের সঙ্গে তার জুটি থামে ১০২ রানে গিয়ে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (৪) হারায় ভারত। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শুভমান গিলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন যশস্বী জয়সওয়াল।
ইংল্যান্ড বশিরের ওপর আস্থা রেখেছে তাকে একপ্রান্ত দিয়ে টানা বোলিং করিয়ে যাচ্ছিল। তাতে হতাশ করেননি বশির। ৮২ রানের জুটি তো ভেঙেছেনই পাশাপাশি স্বাগতিকদের মিডল অর্ডারও গুঁড়িয়ে দেন ডানহাতি এই স্পিনার। ছোট টেস্ট ক্যারিয়ারে আজ টানা ৩১ ওভারের স্পেলে ৪ উইকেট নিয়ে দিনটি স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।
প্রথমে এলবডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ৩৮ রান করা গিলকে। এরপর রজত পাটিদারকেও (১৭) থিতু দেননি। উচ্চতার সুবিধা নিয়ে রবীন্দ্র জাদেজাকে (১৭) পরিণত করেন শর্ট লেগে থাকা ওলি পোপের ক্যাচে।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ভারতকে লড়াইয়ে রাখেন জয়সওয়াল। ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন ফর্মে থাকা এই ব্যাটার। কিন্তু নিচু হয়ে আসা ডেলিভারিতে বোল্ড করে তাকে ৭৩ রানেই থামান বশির। তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ইংল্যান্ডের হাতে। টম হার্টলি এসে দ্রুত সাজঘরে ফেরান সরফরাজ খান ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে।
১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া ভারত দিন শেষ করে ২১৯ রান নিয়ে। অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪২ রান যোগ করে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন ধ্রুব জুরেল (৩০*) ও কুলদীপ যাদব (১৭*)।