বাজারে সব ধরনের মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে মাছের দাম বাড়ছে।ফলে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
মাছের উৎপাদন কমে যাওয়া, মাছের খাবারের দাম এবং পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়াকে মাছের দাম বাড়ার মূল কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মেরাদিয়া হাট, গোড়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট বাজার, মালিবাগ বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে মাছের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১৭০০- ২৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কালিবাউশ ৫০০- ১০০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭৫০ -১৫০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, বেলে মাছ ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০- ১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১০০০-১২০০ টাকা শোল মাছ ৭০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মাছের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই কম দামের মাছও কিনতে পারছেন না।
সেগুন বাগিচা বাজারে মোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, আজ বাজারে এসে দেখি মাছের দাম অনেক বেশি। আগে যেখানে ৩৫০-৪০০ টাকায় এক কেজি রুই মাছ কিনতে পারতাম, এখন তা কেজিতে ৫০ টাকা বেশি দিয়ে ৪৫০-৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আগের মতো মাছ কিনতে পারছি না।
রোজায় বাজারে মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
শান্তিনগর বাজারে কথা হয় আরেক ক্রেতা নুসরাত জাহান নিপুর সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মাছের দাম এত বেশি যে, সামান্য কিছু মাছ কিনতেই আমার পুরো বাজেট শেষ হয়ে গেছে। এভাবে চললে রোজায় চলা কষ্ট হয়ে যাবে। সরকারের উচিত মাছের বাজারের দাম কমানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।
মেরাদিয়া হাটের মাছ বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম বলেন, মাছের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকেই আমাদের মাছ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মাছের দাম আরও বাড়তে পারে বলে শুনেছি।