ঘন ঘন পায়ের শিরায় টান এড়ানো থেকে বিরত থাকুন

ঘন ঘন পায়ের শিরায় টান এড়ানো থেকে বিরত থাকুন

পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্প সাধারণ। তবে পায়ের শিরায় ঘন ঘন টান স্বাস্থ্য ঝুঁকির লক্ষণ। এতে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সাধারণত পায়ের শিরায় টান শুধুমাত্র অল্প সময়ের জন্য স্থায়ী হয়। এটি যে কোনও সময় ঘটতে পারে, তবে বেশিরভাগ লোকেরই এটি রাতে বা বিশ্রামের সময় হয়ে থাকে। পায়ে ক্র্যাম্প হয় যখন পায়ের একটি পেশি শক্ত হয়ে যায় এবং হঠাৎ ব্যথা হয় যা নড়াচড়া করা কঠিন করে তোলে। এটি কয়েক সেকেন্ড থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্পের কিছু কারণ এখনো অজানা। সাধারণভাবে এটি সম্ভবত ক্লান্ত পেশি ও স্নায়ু সমস্যার ফলাফল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভবতী ব্যক্তিদেরও পায়ে ক্র্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিডনি ব্যর্থতা, ডায়াবেটিক স্নায়ুর ক্ষতি এবং রক্ত প্রবাহের সমস্যা পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্পের কারণ হিসাবে পরিচিত।

কিছু ওষুধ যেমন- প্রস্রাবের আউটপুট বাড়ায়, কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ খেলে পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্প সৃষ্টি করতে পারে। পর্যাপ্ত তরল পান না করা (ডিহাইড্রেশন) এবং অত্যধিক অ্যালকোহল পান করার কারণে লিভারে রোগ সাথে পায়ের শিরায় টান সৃষ্টি করতে পারে। 

পায়ের ক্র্যাম্প ঠেকাতে আপনি নিজে যা করতে পারেন
ক্র্যাম্পের সময় পেশী স্ট্রেচিং ও ম্যাসেজ করলে এ সময় ব্যথা কম হয়। যদিও বেশিরভাগ ক্র্যাম্প আপনার কিছু না করাতেই চলে যায়। ক্র্যাম্পের সময় দাঁড়িয়ে পড়লে পায়ে ওজন পড়াতে পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্প থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত ব্যায়াম পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ নাও করতে পারে। এছাড়াও পায়ের শিরায় টান বা পায়ে ক্র্যাম্প ঘন ঘন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS