১৭ রানে ৩ ও ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সফরের শেষ ম্যাচেও হারের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেই ক্যারিবিয়ানরাই ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে জমা করে ২২০ রান।ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড জুটিতে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন শেরফান রাদারফোর্ড ও আন্দ্রে রাসেল। পরে বোলিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ১৮৩ রানেই থামিয়ে দেয় সফরকারীরা।
পার্থে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৭ রানের জয় পেয়ে সফর শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। অভিষিক্ত জ্যাভিয়ের বার্টলেট তার প্রথম দুই ওভারে ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার জনসন চার্লস (৪) ও কাইল মেয়ার্সকে (১১)। এর মাঝে নিকোলাস পুরানকে (১) শিকার করেন জেসন বেহরেনডর্ফ।
তৃতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল (২১) ও রোস্টন চেইজ (৩৭)। কিন্তু অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা ফিরে গেলে আবারও বিপাকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ব্যাটিং ধসের মুখে দাঁড়িয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকেন আন্দ্রে রাসেল ও শেরফান রাদারফোর্ড। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১৩৯ রান যোগ করে নতুন রেকর্ড গড়েন তারা। আগের রেকর্ডটি ছিল পাপুয়া নিউ গিনির টনি উরা ও নরম্যান ভানুয়ার। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দেড় বছর আগে ১১৫ রান করেন তারা।
রেকর্ড এই জুটি ভাঙে রাসেল বিদায় নিলে। সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ বলে ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৭১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে যান এই অলরাউন্ডার। তবে ৪০ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন রাদারফোর্ড।
তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় রেখেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরতেই মোমেন্টাম হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৪৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৮১ রান করেন ওয়ার্নার। শেষদিকে টিম ডেভিডের ১৯ বলে ৪১ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। উইন্ডিজ বোলাররা অবশ্য কেবল ৫ উইকেটই নিতে পারে। দুটি করে শিকার রোমারিও শেফার্ড ও চেইজের।
এদিকে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া।