এবার মার্কিন ও ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজে হামলার ঘোষণা দিয়েছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর ওপর হুথির আক্রমণ রোধে পশ্চিমা দেশ দুটি দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আসছিল।আত্মরক্ষায় হুথিরাও পাল্টা হামলা চালাবে বলে জানিয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
খবরগুলো বলা হয়েছে, পাল্টা হামলার ঘোষণাটি দিয়েছেন হুথির সামরিক মুখপাত্র। আল-মাসিরাহ টিভির মাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য লোহিত সাগরে মার্কিন ও ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলার পরিকল্পনা চলছে।
হুথি গোষ্ঠী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড মঙ্গলবার রাতে এমন তথ্য প্রকাশ করে বলেছে, লোহিত সাগরের দিকে ইয়েমেন থেকে নিক্ষেপ করা একটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সানা ও ইয়েমেনের উত্তরে হুথিরা লোহিত সাগরের উপকূলরেখাও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় এ গোষ্ঠি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা বাণিজ্যিক জাহাজগুলো হামলা চালাচ্ছে। মূলত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিপরীতে তারা এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আসছে। হুথি বলেছে, গাজায় যতদিন ইসরায়েলি বর্বর হামলা চলবে ঠিক ততদিন তারাও রোহিত সাগরে তাদের এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।
এমন সংকট মোকাবিলায় প্রথমে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। পরে যোগ দেয় যুক্তরাজ্যও। গত সপ্তাহে অষ্টমবারের মতো হুথিদের আক্রমণ মোকাবিলায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। পরে আর গত ১১ জানুয়ারি যৌথ হামলা চালানোর পর এটি মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ছিল দ্বিতীয় যৌথ অভিযান।
উল্লেখ্য, হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা জোটের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা বেড়েছে। একই সঙ্গে লোহিত সাগর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে এসব ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।