২১ দিনের আগে অথবা ৩৫ দিনের পরে হলে এবং তা যদি তিনদিনের কম বা সাতদিনের বেশি স্থায়ী হলে তাকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলে। অনিয়মিত ঋতুচক্র নারী স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
নিয়মিত ঋতুচক্র শরীরের হরমোনাল ব্যালেন্স ঠিক থাকে। তবে অনিয়মিত ঋতুচক্র বিভিন্ন সমস্যায় হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:
* থাইরয়েডের সমস্যা
* অতিরিক্ত মানসিক চাপ
* শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া
* হঠাৎ ওজন অনেক কমিয়ে ফেলা
* মাত্রাতিরিক্ত শরীরচর্চা
* পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম
* জরায়ুর টিউমার ও এন্ডোমেট্রিওসিস
* জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল এবং কপার টি ব্যবহার
* যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ দেন
* কিশোর বয়সে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের তারতম্যের কারণে।
যেসব সমস্যা হতে পারে:
* এক মাসে রক্তপাত বেশি তো অন্য মাসে কম হতে পারে।
* বেশি সময় ধরে রক্তপাত হওয়া এবং পরিমাণে বেশি রক্ত যাওয়া।
* সন্তান ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি।
* কিছু ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ।
* মানসিক অশান্তি এবং মেজাজ খিটখিটে হওয়া।
কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে:
* ২১ দিনের আগে বা ৩৫ দিনের পর ঋতুস্রাব হলে।
* দুই ঋতুচক্রের মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান দিন দিন পরিবর্তিত হতে থাকলে।
* ঋতুস্রাবের স্থায়িত্ব তিন দিনের কম বা সাত দিনের বেশি হয়।
* ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত এবং পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভব করলে।
* বছরে তিনবার বা তার কম ঋতুস্রাব হলে।
এ বিষয়ে প্রতিরোধ:
* স্বাস্থ্যকর জীবনাচরণে গুরুত্ব দিতে হবে।
* মানসিক চাপমুক্ত থাকুন, অতিরিক্ত উদ্বেগ পরিহার করুন।
* ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে তা যেন অতিরিক্ত না হয়।
* ফাস্ট বা জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে যাবেন। পুষ্টিকর ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে এমন খাবার খাবেন।