গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যৌথ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ফের বেড়ে গেছে।
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ৪ শতাংশ বেড়েছে। খবর রয়টার্সের।
জানা যায়, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪ শতাংশ বেড়ে ৮০ দশমিক ৫২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড প্রতি ব্যারেল ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে হয়ে গেছে ৭৪ দশমিক ৯৯ ডলার।
এ প্রসঙ্গে হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের অর্থ ও বাজারের প্রধান সুসান্নাহ স্ট্রিটর বলেন, হুতিদের ওপর হামলার পর থেকে তেলের দাম দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজে হুতিদের হামলার আগে গত ডিসেম্বর থেকে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার তেলের দাম প্রায় ৭ শতাংশ বেড়েছে। লোহিত সাগরের এই সংকট অব্যাহত থাকলে, এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সরকার মডেলিং করেছে যে, গ্যাসের দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০ ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, হুতিদের ওপর হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য লোহিত সাগরকে ‘রক্তের সাগরে’ পরিণত করার চেষ্টা করছে। প্রথমত, এসব হামলা আনুপাতিক নয়। এগুলো সবই বলপ্রয়োগের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার।
অপরদিকে ‘আত্মরক্ষার স্বার্থে’ হুতিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
ইউক্রেন সফরে গিয়ে সুনাক বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এই হামলা চালানো হয়েছে। কেননা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যা ঘটে চলেছে তার জন্য মিত্ররা নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হুতিদের নিবৃত্ত করার আহ্বান জানিয়ে আসছিল।
উল্লেখ্য, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হামলার প্রতিশোধ হিসেবে হুতিদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোয় শুক্রবার ভোরে হামলা চালানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় এ হামলা চালানোর কথা গণমাধ্যমের কাছে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।