যশোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। কর্মসূচি চলাকালে লাঠিচার্জ ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের কাপুড়িয়া পট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শহরের বড়বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের টহলের পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান করতেও দেখা গেছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদপত্র লিফলেট বিতরণের কর্মসূচির আয়োজন করে যশোর জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে শহরের দড়াটানা মোড় থেকে ধন্যবাদপত্র লিফলেট বিতরণ শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। দড়াটানা থেকে কর্মসূচিটি যখন কাপুড়িয়া হাটচান্নি বাজারের সামনে যায় তখনই পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা শুরু করেন। এতে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় বেশকয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে শান্তিপূর্ণ লিফলেট বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু কর্মসূচির শেষ দিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্দয়ভাবে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, সরকারের ডামি ভোট বর্জন করেছে সাধারণ জনগণ। জনগণকে সাথে নিয়ে যখন আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি; এই অবৈধ সরকার এখন বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও ভয় পাচ্ছে। গণতন্ত্র হত্যা করে সরকার একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এ ভয়। নেতাকর্মীদের ওপর এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
যশোর কোতোওয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি কর্মসূচি করেছে কি না সেটাও জানা নেই। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে কি না সেটাও জানা নেই।