মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটির মেয়াদ বাড়লো আরও ১০ বছর। কাতারে অবস্থিত আল উদিদ নামের বিমানঘাঁটিটি দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মরুভূমিতে অবস্থিত।বর্তমানে এই ঘাঁটিতে ১০ হাজার মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে।
আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্যপ্রাচ্যের আশেপাশে অপারেশন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ঘাঁটিটি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের একটি প্রধান কেন্দ্র। কাতারি এবং ব্রিটিশ বিমানবাহিনীও ঘাঁটিটি ব্যবহার করে।
ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে এই অঞ্চলে তার মার্কিন উপস্থিতি জোরদার করার কাজে এই ঘাঁটি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। খবর সিএনএন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন গত মাসে আল উদিদ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘাঁটির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কাতারকে ধন্যবাদ জানান। যদিও মার্কিন সরকার এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
মার্কিন ঘাঁটির মেয়াদ বৃদ্ধির খবরটি এমন সময় সংবাদমাধ্যমে এলো, যখন কাতার নিজে দেশে শীর্ষ হামাস নেতাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে কাতারের ভাষ্য বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তার অনুরোধেই হামাসকে দোহায় একটি রাজনৈতিক অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
গাজা যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের হামাসের হাত থেকে মুক্ত করতে আলোচনায় মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কাতার। তাছাড়া ভেনিজুয়েলা থেকেও মার্কিন বন্দি মুক্তিতে ভূমিকা রাখে দেশটি।
ঘাঁটিতে মার্কিন বৈমানিকদের সুবিধা বাড়ানোর জন্য তার নিজস্ব তহবিল থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার।
২০০৩ সালে সৌদি আরবের প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটি থেকে মার্কিন সৈন্য এবং সরঞ্জাম স্থানান্তর করে আল উদিদ বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হলে ঘাটিটি এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত হয়।