এবার আপিল বিভাগে যাবেন নৌকার প্রার্থী শামীম-শাম্মী

এবার আপিল বিভাগে যাবেন নৌকার প্রার্থী শামীম-শাম্মী

দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক ও বরিশাল-৪ আসনের শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে বিফল হওয়ার পর এবার আপিল বিভাগে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এ দুই প্রার্থীর রিট খারিজের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।

তিনি জানান, নাগরিকত্ব ছাড়ার বিষয়টি আদালত বিশ্বাস করেননি। এজন্য আমরা হেরেছি। রিটটা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা এটার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবো। আগামীকালই ফাইল করবো। সেটার জন্য অপেক্ষা করছি।

শামীম হক
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক বলে অভিযোগ আনেন তিনি। এরপর শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় ইসি। তার বিরুদ্ধে রিট করেন শামীম হক।  

সোমবার বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ তার রিট সরাসরি খারিজ করে দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান।

পরে মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা গ্রহণ করেন। কিন্তু মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। সে আপিলের মূল কথা ছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাংলাদেশের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে তার সংসদ নির্বাচনের যোগ্যতা নেই। আপিল শুনানি শেষে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আপিল মঞ্জুর করেন। এর বিরুদ্ধে শামীম হক রিট করেন। সেই রিট সরাসরি খারিজ করে দেন। হাইকোর্টে তিনি বলেছেন- নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের জন্য নেদারল্যান্ডসে আবেদন করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে বা পরে তিনি এ আবেদন করেছেন। সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।

এ রিট খারিজ করার ফলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ বহাল রইলো এবং শামীম হকের প্রার্থিতা অবৈধ। তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বলে জানান এ আইনজীবী।

শাম্মী আহমেদ
শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ ছিল পঙ্কজের।  

নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়।  

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানোর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মী আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে দেন। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল রাখেন।

পরে শাম্মী আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। যেটি সোমবার খারিজ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
ইএস/আরবি

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS