ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর সারাদেশে শীত অনুভব শুরু হয়েছে পুরোদমে। দু-এক দিনের মধ্যেই কমে যেতে পারে রাতের তাপমাত্রাও। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। রেকর্ড হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত নামার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে তা দেরি হয়েছে। মেঘ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার পর বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দু-এক দিনের মধ্যেই তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এ ছাড়া ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে দেশের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ ছাড়াও উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সেই সঙ্গে ঘনকুয়াশা, বইছে হিম বাতাস। হিমালয়ের অনেকটা কাছে অবস্থিত উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীত অনুভব বেশি। তাই বরাবরই সেখানে অনেকটা আগে ভাগেই শীত জেঁকে বসেছে। তবে এবার কিছুটা দেরিতে আসলেও গত দু’দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাফেরাও। এ ছাড়াও দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
দিনাজপুরে সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত সম্ভাবনা নাই। এ ছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় ভোরের দিকে সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।