রিজার্ভ কমলেও ঘাটতি হয়নি : অর্থমন্ত্রী

রিজার্ভ কমলেও ঘাটতি হয়নি : অর্থমন্ত্রী

বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ আগের তুলনায় কমে এলেও কোনো ঘাটতি হয়নি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের বিপিএম৬ অনুযায়ী গত ১২ অক্টোবর পর্যন্ত— স্থিতির ভিত্তিতে দেশে বর্তমানে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২১ হাজার ১১৬ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনা পরবর্তীতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহের অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট দেশের বহির্খাতের চাপ মোকাবিলা করে রিজার্ভের সন্তোষজনক স্থিতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অধিকতর বাজারমুখীকরণ ও একাধিক হারের পরিবর্তে একক হারের দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি বলেন, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য একই সার্কুলার ২০২২ সালের ১৪ জুলাই এবং ২৯ জুলাই জারি করা হয়। এগুলো প্রতিপালনে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। অপ্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদানের সার্কুলার জারি করা হয়েছে। আর সরকারি বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার-ইনভয়েসিং ও ওভার-ইনভয়েসিং বন্ধের জন্য কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৫ মার্কিন ডলার। সর্বোচ্চ ঋণ বিশ্বব্যাংক থেকে, যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ৬২ হাজার ৩১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সাময়িক), যার মধ্যে বহুপাক্ষিক ৩৬ হাজার ৭৮১ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বিপাক্ষিক ২৫ হাজার ৫৩১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৭০ দশমিক ৭৯ মিলিয়নের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৪ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলার।

অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্বব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১৯ হাজার ৫৩৬ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৪ হাজার ১১৪ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার, তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯৯৯ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, রাশিয়া থেকে ৫ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, চীন থেকে ৫ হাজার ৩৭৪ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার, এআইআইবি ১ হাজার ৫০৪ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার, ভারত থেকে ১ হাজার ২৯৯ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়াও বাংলাদেশ আরও কয়েকটি দেশ এবং সংস্থা থেকে ঋণ নেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS