গতিতেই উড়ে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং

গতিতেই উড়ে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং

পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জটা সবার জানা। নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর প্রথম স্পেল যে কোনো দলের টপ অর্ডারের জন্য বিশাল হুমকি। এই দুজন উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে হারিস রউফ তো আছেনই। বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস বোলিংটা শক্তিশালী করতে আজ একাদশে নেওয়া হয়েছে ফাহিম আশরাফকেও। শেষ পর্যন্ত সেই পেস বোলিংয়ের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ, ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসাররা।

একাদশ দেখেই অনুমান করা যাচ্ছিল, পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ দল কেমন করে, সেটার ওপর নির্ভর করবে বাংলাদেশ দলের স্কোর। কিন্তু আজ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হলে খুলে যায় টপ অর্ডারের দুয়ার। নাসিম শাহর লেগ স্টাম্পের ওপর করা নিরীহ বলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন মিরাজ। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মিরাজ আজ প্রথম বলেই আউট।

তিনে নামা লিটন দাসের ইনিংসও বড় হয়নি। ৪টি দুর্দান্ত বাউন্ডারিতে ১৩ বলে ১৬ রান করে ফেলা লিটনকে যখন থিতু মনে হচ্ছিল, তখনই তিনি শাহিনের বাড়তি বাউন্স দেওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে কট বিহাইন্ড। পাওয়ার প্লে’র মধ্যে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। লিটনের মতো বাড়তি বাউন্স সামলাতে পারেননি নাঈমও। ২৫ বলে ২০ রান করে রউফকে পুল করতে গিয়ে আউট হন এই বাঁহাতি। রউফ তাঁর পরের ওভারে সদ্য ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কেও (৯) টিকতে দেননি। ফুল লেংথের গতিময় বলটি আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি।

৯.১ ওভারেই ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন বিপদে, তখন হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে মাঝের ওভারে ১২০ বলে ১০০ রান যোগ করেন। ফিফটি করেন দুজনই। সাকিবই ছিলেন দুজনের মধ্যে কিছুটা দ্রুত, তাঁর ৫৭ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ৭টি চার। বিপদ ঘটে প্রথম ছক্কা মারার চেষ্টায়। ২৯.১ ওভারে ফাহিমের শর্ট বলে পুল খেলতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তোলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তখন বাংলাদেশের রান ১৪৭। মাঝের ওভারে যে ছন্দটা পেয়েছিল দল, সাকিবের আউটে তা কেটে যায়। এরপর শামীম হোসেনও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আউট হয়ে যান ১টি ছক্কায় ২৩ বলে ১৬ রান করে। লড়ার মতো স্কোরের জন্য তখন মুশফিকের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু তিনিও ৩৮তম ওভারে রউফের বলে ক্রিজ ছেড়ে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন। ৮৭ বল খেলে ৫টি চারে ৬৪ রান করেন মুশফিক। এরপর আফিফের ১১ বলে ১২ রান ছাড়া লোয়ার অর্ডারে কেউই দুই অংক স্পর্শ করেননি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন রউফ, নাসিমের শিকার ৩ উইকেট।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS