ভুল চিকিৎসায় কারণে তাহসিন হোসাইন নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে—এমন অভিযোগে ল্যাবএইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সোমবার তাহসিনের বাবা মনির হোসেন মামলাটি করেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী পুলক চন্দ্র দাস।
মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ল্যাবএইডের চিকিৎসক মো. সাইফুল্লাহ, মাকসুদ, সাব্বির আহমেদ ও মোশাররফ হোসেন এবং ল্যাবএইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম শামীম, ব্যবস্থাপক শাহজাহান ও তাজরিন ভূঁইয়া।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাহসিন হোসাইন নামের একজন শিক্ষার্থী গত ২৭ মার্চ ল্যাবএইড হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল্লাহকে দেখান। তিনি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে ২৮ মার্চ ওই শিক্ষার্থীর মলদ্বারে অস্ত্রোপচার হয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ল্যাবএইডের অপর চিকিৎসক মাকসুদের শরণাপন্ন হন। গত ৬ এপ্রিল আবারও অস্ত্রোপাচার হয়। কিন্তু তাহসিনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
মামলায় দাবি করা হয়েছে, ল্যাবএইডের চিকিৎসক সাইফুল্লাহসহ অন্যদের অবহেলার কারণে ২৩ জুন তাহসিন মারা যান।
অবশ্য চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেন ল্যাবএইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক এ এম শামীম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাহসিনকে সুস্থ করে তোলার জন্য ল্যাবএইডের চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন।
চিকিৎসকদের কোনো ধরনের অবহেলা ছিল না। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে বলে জানান এই চিকিৎসক।