নীলফামারীতে বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে তিস্তার পানি

নীলফামারীতে বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে তিস্তার পানি

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি ওঠানামা করছে। বুধবার সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট জেলার দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় সেখানে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

নদীর পানি কমা-বাড়ার কারণে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রেখে সতর্কাবস্থায় রয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীর পানি ওঠানামা করলেও বাড়িঘরে এখনো বন্যার পানি ওঠেনি। তবে বিস্তীর্ণ এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় পানি বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১৫ চরগ্রামের মানুষ।

পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গত রোববার রাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সোমবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। এরপর পানি কমে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। আবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকাল নয়টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমতে, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে বুধবার সকাল ৬টায় ৫১ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার, ৯টায় ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, বেলা ৩টায় ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬টায় ৫১ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, তিস্তা নদীর পানি কখনো বাড়ছে আবার কখনো কমছে। বুধবার সকাল ৯টায় পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় পানি কমে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব কটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS