বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক ব্যবস্থাপনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টকর্মীরা প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কর্মীপর্যায়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অনুদান প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ প্রশিক্ষণে বিভিন্ন লোকোমোটিভ কারখানা ও লোকোসেডের মোট দশজন এবং সমন্বয়ক হিসেবে দুইজন কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন।
আগামী ৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণটি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে কোরিয়া রেল ওয়ার্কশপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থ সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তারা দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় ইতিপূর্বে পাহাড়তলী ডিজেল ওয়ার্কশপে দুই দফায় মোট ৬০ জন কর্মী অংশ নেন। কোরিয়ান প্রশিক্ষকরা তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়েকে মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রশিক্ষণার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী ও সমন্বয়কবৃন্দ হলেন— মো. রেজওয়ান উল-ইসলাম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো), চট্টগ্রাম; নিরঞ্জন সিকদার, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল); শহিদুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রিক্যাল); মো. মোজাম্মেল হক, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (গ্রেড-১); মো. মামুনুর রশিদ, ইলেকট্রিক মিস্ত্রি (গ্রেড-১); মো. শামীম হোসেন, ইলেকট্রিশিয়ান (গ্রেড-১); শাহিনুর আলম, ইলেকট্রিশিয়ান (গ্রেড-১); হারুন অর রশিদ, ফিটার (গ্রেড-১); মো. সৈয়দ ওয়াকত হোসেন, ফিটার (গ্রেড-১); মো. সালাউদ্দিন, ফিটার (গ্রেড-১); রাসেল আলম, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম প্রশিক্ষণার্থীদের শুভকামনা জানান এবং আন্তরিকভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুরোধ জানান।
তিনি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
রেল সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কর্মীপর্যায়ে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকভাবে কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে। তারা এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।