News Headline :
৩০০ আসনে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেবে জামায়াতসহ সমমনা ৮ দল ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৫ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধনের দাবি বন অধিদপ্তরের প্রকল্পে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের নামের তালিকা গোপন বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক ‘বেস্ট ফেলো’ হলেন বাংলানিউজের রাজা ফেসবুকে কমেন্ট নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৫ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসে পুলিশকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ রেকর্ড গড়তে বিজয় দিবসে পতাকা হাতে স্কাইডাইভ দেবেন ৫৪ প্যারাট্রুপার লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী পর্যায়ে প্রথম বৈদেশিক প্রশিক্ষণ
নিরাপদ মোবাইল ব্যবহার নিশ্চিতে এনইআইআর দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন

নিরাপদ মোবাইল ব্যবহার নিশ্চিতে এনইআইআর দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন

মোবাইল উৎপাদন শিল্পে সিন্ডিকেট থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি) জানিয়েছে, বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী, যারা মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে কাজ করছে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনইআইআর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এনইআইআর বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এমআইওবি সভাপতি জাকারিয়া শহীদ।

অবৈধ মোবাইল ফোন ঠেকাতে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এনইআইআর চালু হলে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধনহীন বা আন-অফিসিয়াল মোবাইল সেটের ব্যবহার বন্ধ হবে। 
গত ২৯ অক্টোবর বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল সেট ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। এরফলে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজত্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশে মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে।

এনইআইআর চালুর উদ্যোগে দেশের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছিলেন, এই ব্যবস্থা ব্যবসায়ীদের বিশাল ক্ষতির মুখে ঠেলে দেবে। 

এ নিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিটিআরসি ভবনের সামনে দিনভর অবস্থান করে রাখেন তারা। কিন্তু এনইআইআর বাস্তবায়নের পক্ষে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তাহীন ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাতীয় আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়ে। এজন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এনইআইআর (ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, অর্থনীতির ভাষায় এ বাজার পারফেক্টলি কম্পিটিটিভ, যেখানে বহু প্রতিষ্ঠান, উন্মুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার এবং শক্তিশালী প্রতিযোগিতা বিদ্যমান। তাই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বা সিন্ডিকেশনের অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের মোবাইল শিল্প বর্তমানে ১৮টি উৎপাদনকারী কারখানার সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগ এবং ৫০ হাজার দক্ষ শ্রমিকের সরাসরি; পাশাপাশি ডিলার, ডিএসআর, সার্ভিস ও খুচরা বিক্রয়সহ ৫০ হাজার মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক সক্রিয়ভাবে যুক্ত।

তিনি বলেন, দেশের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ লাখ স্মার্টফোন ও ২৫ লাখ ফিচার ফোন, যদিও গ্রে মার্কেটের চাপের কারণে এখনও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে। বর্তমানে বাজারের আকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা, যেখানে রয়েছে ২০ হাজার রিটেইল পয়েন্ট এবং ৫ হাজার শীর্ষ রিটেইলার। শিল্পটি বছরে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি কর, ৫শ কোটি টাকার মজুরি এবং ৪শ কোটি টাকার ইউটিলিটি বিল প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, এনইআইআর সিস্টেম না থাকাতে আমরা গ্রে মার্কেট প্রভাবের কারণে হাই-অ্যান্ড ফোন বাজার লোকালি প্রোডাকশন করতে পারি না। আমরাও হাই-অ্যান্ড ফোন প্রোডাকশন করতে পারব এবং যেই প্রাইসে এখন আপনারা পাচ্ছেন তার কাছাকাছি মূল্যে আমরা যেকোনো ফোন আপনাদের হাতে তুলে দিতে পারব। তাই এখন যেই ভ্রান্ত ধারণাটি ছড়ানো হচ্ছে এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে ফোনের দাম বাড়বে সেটি শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থের সংরক্ষণের জন্যই বলা হচ্ছে। যেকোনো হোয়াইটলিস্টেড আইএমইআই যদি এনইআইআর থেকে ডেরেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় তা খুব সহজেই নিয়ম মেনে বিক্রি করা যাবে। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি বৈধ রিফারবিশ ফোন বেচা-কেনাতে কোনো বাধা থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়; নিরাপত্তাহীন ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা, ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাতীয় আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়ে। একটি মহল বিদেশ থেকে ব্যবহৃত ফোন এনে নতুন হিসেবে অথবা প্রিঅওনড হিসেবে বিক্রি করে। অনেকে না বুঝেই ফোন করলে কে নতুন হিসাবে কেনে যা ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে আমরা লোকালই হাই-অ্যান্ড ফোন প্রডিউস করবো সেক্ষেত্রে আপনারা সঠিক মূল্যে নতুন ফোন পাবেন এবং আপনাদের রিফারবিশ ফোন আর কিনতে হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমআইওবির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক বিপ্লব, স্মার্ট হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম,শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, এক্সেল টেকনোলজিস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন টিপু, ভিভোর প্রতিনিধি ইমাম উদ্দিন, সেলেক্সট্রার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ডিস্ট্রিবিউটার অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল কাপুড়িয়া।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS