বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এ জাতি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের সেই ঐক্যে অটুট থাকতে হবে।
তিনি বলেন, যদি আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন সৃষ্টি হয়, তবে তার সুযোগ নেবে ‘পতিত স্বৈরাচার’ এবং তাদের দোসররা। তাই ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকলে, আগামী নির্বাচনেও দেশ লাভবান হবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ঐক্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ৭ নভেম্বর যে ঐক্য হয়েছিল, সেই ঐক্য আজকে আবারও প্রয়োজন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্য সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের অর্থনীতিকে ‘খালি করে দিয়েছে’ এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে অলমোস্ট অন্য একটি দেশের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে।
বিএনপির এ নেতা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, আজকে যারা পালিয়ে গেছে তারা ঐখানে (ভারত) বসে বসে সেই পুরোনো স্টাইলে আগুন সন্ত্রাস করছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার বিচারের রায়ের সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা করে সেই পুরোনো কায়দায় আগুন সন্ত্রাস করতে তারা (আওয়ামী লীগ) আবারও মাঠে নেমেছে।
তিনি বলেন, আজকে যদি আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন হয়, তাহলে লাভ হবে পতিত স্বৈরাচারের। আর এর ফসল ভোগ করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগে আছে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের ঐক্যকে যদি তারা বিনষ্ট করতে পারে, তাহলে তারা ঐক্যের ফাটল দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করবে। এ জাতি ২০২৪ এর ৫ আগস্ট যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, তেমনিভাবে আজকেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার তো পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের দোসর এখনো এ দেশে আছে। কাজেই আমাদের আশপাশের মানুষের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে যদি আমরা রাজনৈতিক ঐক্যকে ধরে রাখতে পারি, দেশ যেমন ৭ নভেম্বর ও ২৪ এর ৫ আগস্টে লাভবান হয়েছিল, আগামী নির্বাচনেও দেশ লাভবান হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমির, সদস্য সচিব মো. বাকিবিল্লাহ, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা।