পটুয়াখালীতে বিএনপি’র জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। সমাবেশ পণ্ড হয়েছে বিএনপির। হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে অন্তত ৩০টি দোকান ও বাড়ি-ঘরে। পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপে আশেপাশের ১ কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
বন্ধ হয়ে যায় দোকান-পাট ও যানবাহন চলাচল। এক পর্যায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানা যায়, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অবজ্ঞা, গায়েবী মামলা, গণ গ্রেপ্তার, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোড শেডিং-এর প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে আজ শনিবার ( ২০ মে) সকাল ১০ দিকে শহরের কলেজ রোডস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা লাঠিসোটা, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড হাতে এগিয়ে আসলে বিএনপির কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয় এবং সমাবেশ চলতে থাকে।
এরপর দফায় দফায় আশেপাশের বিভিন্ন সড়কে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে পুলিশ উভয় পক্ষকে বাধা দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায় ছাত্রলীগ যুবলীগ-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়।
এসময় পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলেও পরে আবারও ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা এসে বিএনপি অফিস ও আশেপাশের বাড়িঘর দোকানপাটে হামলার তাণ্ডব চালিয়ে পৌরসভা মোড়ে শান্তি সমাবেশ করে জেলা যুবলীগ।
এঘটনায় জেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পর বিরোধী অভিযোগ করে।