লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম ফারুক (এস আই ফারুক) অভিমান করে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ফারুক নিজেই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিতভাবে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নেন এস আই ফারুক। কেন্দ্র, জেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছেও অব্যাহতিপত্রের অনুলিপি পাঠিয়েছেন তিনি।
অব্যাহতিপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, শারীরিক জটিলতা ও ব্যক্তিগত কর্মব্যস্ততার কারণে রাজনৈতিক মাঠে অনুপস্থিতিতে দলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এতে দলের বৃহত্তর স্বার্থে তিনি ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ ও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন।
এ বিষয়ে এস আই ফারুক বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকারের ক্ষমতাকালীন ৯টি ও ২০০১-০৭ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সাতটি মামলার আসামি হয়েছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করায় একাধিকবার জেল খাটতে হয়েছে। দুর্দিনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন আওয়ামী লীগের সুসময়। এ সময় এসে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাঁচটি মামলায় আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে হত্যা, বিস্ফোরক, ভাঙচুর মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করায় মামলার আসামি হতে হবে এটি কখনো কল্পনা করিনি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা পদ-পদবিও হারিয়েছি। এসব কারণে দল থেকে অব্যাহিত নিয়েছি।
জানতে চাইলে রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। তবে আমার হাতে এখনো কাগজ আসেনি। তবে সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হবে এটা কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, ফারুক ১৯৯১ সালে শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৩-৯৫ সালে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। তখন তিনি হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। এরপর দুই মেয়াদে তিনি ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।