মা–বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন পরীমনির। নানার বাড়িতেই বেড়ে উঠেছেন। বৃদ্ধ নানাই ছিলেন তাঁর সব। ২০২৩ সালের নভেম্বরে মৃত্যুর আগপর্যন্ত নানা তাঁকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছিলেন। এদিকে পরীমনি এখন সন্তানের মা। একটি তাঁর নিজের সন্তান। এ ছাড়া আরেকটি শিশুর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। এদের নিয়ে চলছে পরীমনির জীবন। সাবেক স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়েছে বছরখানেকের বেশি সময়। একা একা জীবনটাকে সামলাতে গিয়ে মাঝেমধ্যে হিমশিম খান। সেই অনুভূতি পরীমনি ফেসবুকে প্রকাশ করেনও। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে পরীমনি লিখেছেন, একা একা খেতে বসতে হয়, এ সময় তাঁর নিজেকে বড্ড একা লাগে। এতিম লাগে।
পরীমনি জানান, সংকটের মধ্যে থাকলেও ফেসবুকে নিজেদের রঙিনভাবে উপস্থাপনের একটা ইচ্ছা থাকে সবার। তবে সব সময় যে হয় না, তা–ও উল্লেখ করেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আহারে জীবন! কত পলিশভাবে উপস্থাপন করতে চাই, আমরা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ায়! কিন্তু আসলে কি তা–ই হয় সব সময়! হয় না তো।’
নিজের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরে পরীমনি লিখেছেন, ‘এই যে আমি, কত অসহায় লাগে আমার নিজেকে, যখন একা একা খেতে বসতে হয়। শুধু এই একটা সময়ই আমার নিজেকে বড্ড একা লাগে। এতিম লাগে। নানাভাই (শামসুল হক গাজী) বেঁচে থাকতে কোনো দিন বুঝতে পারি নাই, আমি এমনভাবে একা! কি রাত, কি দিন, কি ঠিক সময়, কি অসময়—যখনই খেতে বসতাম, নানাভাই সামনে বসে থাকত। বাচ্চারা ঘুমালে একটু নিজের জন্য সময় পাওয়া যাবে ভাবি। হাতে জমে থাকা কত কাজ সেরে ফেলব ভাবি। করিও সবই। শুধু খাবার সামনে একা বসে খেতে আর পারি না। রোজার সময় আজ আর সাহ্রি বা ইফতারে কোনো আয়োজন থাকে না আমার। আমি সব সয়ে নতুন করে বাঁচার মানুষ বরাবরই। আমি জানি, আমার বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে আবার নতুন করে সুখী মানুষ হয়ে যাব আমি। সময় বা অসময়ে তখন একা বসে খেতে তো হবে না আর…।’