সারা দিনের খাবারের মধ্যে সকালের নাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে সকালের নাস্তার তালিকায় রাখতে পারেন শাকসবজি ও ফল।শীত মৌসুমে সবজি ও ফলের জন্য অনেকেই সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে। যদি কোন ফল বা সবজিতে চিকিৎসকের বাধা নিষেধ না থাকে তবে সুষম পুষ্টির জন্য সব ফল, সবজি খাওয়া যেতে পারে। তবে রান্নায় কম তেল, মসলা দেওয়া ভালো। এছাড়া অনেক সবজি সিদ্ধ করেও খাওয়া যায়।
অনেকেই শীতের শুরু থেকে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন। তাদের শীতকালের শুরুতে সতর্ক হতে হবে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই। তবে ঠান্ডা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো।
রাতে ঘুমের আগে যদি এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো। পাশাপাশি ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মধু, তুলসিপাতা, গোলমরিচ, রসুনের ব্যবহার করেন অনেকে। তবে সবটাই করতে হবে শরীর বুঝে। শীতে শরীর সুস্থ রাখতে ব্রেকফাস্টে যা খাবেন, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
* শীতের সকালে গ্রিন টি, তুলসি টি, বা আদা চায়ের উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনি শরীরও সতেজ থাকে।
* লাল আটার রুটিতে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন ‘বি’ । ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। ভিটামিন ‘বি’ আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখে।
* ডিম খেতে আমরা সবাই ভালোবাসি। সিদ্ধ বা পোচ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রাখুন। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ‘ই’, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ রয়েছে।
* মিক্সড ভেজিটেবলে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার থাকে যা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ত্বকের লাবণ্য ফিরে আনতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
* স্যুপ প্রতিদিন সকালে না হলেও শীতের দিনে যেকোনো একটা সময়ে স্যুপ খাবেন। এতে শরীরে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা দূর করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে। আবার শীতকালে গরম গরম স্যুপ খেতেও ভালো লাগে।
* মৌসুমি ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন। যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা কলা খেতে পারেন।
* শীতকালে মধুর কোনো বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে। সেই সাথে শরীর গরম রাখে মধু।
* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অবশ্যই রাখুন। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য উপকারী।
* সকালের নাস্তায় মাঝেমধ্যে কর্নফ্লেক্স খান। তার মধ্যে ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।
*সাদা ব্রেডের থেকে ব্রাউন ব্রেড অনেক বেশি উপকারী। তাই সাদা ব্রেড ভুলে ব্রাউন ব্রেড খান।
* ওটস খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ওটস অনেকভাবেই খেতে পারেন। দুধ দিয়ে, খিচুড়ি করে যেটা ভালো লাগে সেভাবেই খেতে পারেন।
* সকালের ব্রেকফাস্টে অবশ্যই মাখন খান। মাখন দিয়ে হালকা টোস্ট করে খেতে পারেন।