প্রাথমিকে নতুন ৩ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ: উপদেষ্টা

প্রাথমিকে নতুন ৩ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ: উপদেষ্টা

গুচ্ছ (ক্লাস্টার) ভিত্তিতে শরীরচর্চা ও সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের পাশপাশি চারুকলা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান।

সভাপ্রধান হিসেবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক ড. আহমেদ মোশতাক রাজা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ক্লাস্টার-ভিত্তিতে আমরা শরীরচর্চা শিক্ষক এবং সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছি। আর চারুকলা শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। এ ছাড়া কাউন্সেলর নিয়োগের কথাও ভাবা যেতে পারে। আমি দেখব প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি কি না।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেড চাচ্ছেন। আমি বলছি, তাদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু বাস্তবসম্মত নয়। এজন্য এখন সবাই আমার পেছনে লেগেছেন। সদিচ্ছা থাকার পরও আমরা প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দিতে পারছি না।

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে পাঠ দিতে এবং শিক্ষার পরিবেশ আরও সুন্দর করতে ঢাকা মহানগরীতে দৃষ্টিন্দন প্রাথমিক স্কুল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ডিসেম্বরে দৃষ্টিন্দনভাবে নির্মিত ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করা হবে। স্কুলগুলোর ডিজাইন লোকেশন ও স্পেস অনুযায়ী ভিন্ন ধরনের। একটির সাথে অন্যটির মিল নেই। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায়ও এ ধরনের দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক স্কুল নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, শিশুদের ‘মিড ডে মিল’ দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ চালু হবে। প্রথম পর্যায়ে ১৫০টি উপজেলার সব স্কুলে ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হবে। এ প্রকল্পটি একনেকে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘মিড ডে মিল’ চালু করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় যেন শিক্ষার্থীরা ঝরে না পড়ে সেলক্ষ্যে উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। উপবৃত্তির সুফল বা সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। লক্ষ্য করা গেছে, উপবৃত্তির জন্য এক স্কুলে শিক্ষার্থীদের নাম থাকে, কিন্তু তারা অন্যস্কুলে লেখাপড়া চলমান রাখে। উপবৃত্তিকে আমরা ইনসেনটিভ বলতে পারি। এ ইনসেনটিভ দেওয়া হয় মূলত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। প্রকৃতপক্ষে উপবৃত্তির টাকা অপ্রতুল, এই টাকা বাড়ানো যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS