নির্মাতার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ
দেশের জনপ্রিয় এক নির্মাতার বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি। জানা যায়, সেই নির্মাতা তার অফিসে নেশা জাতীয় চকলেট খাইয়ে হেনস্তা করতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রীকে।
যদিও বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে দ্রুত চলে আসেন সুমি। তবে ওই নির্মাতার নাম প্রকাশ করেননি এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিব্রতকর সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সুমি বলেন, তিন মাস আগে নিকেতনে এক পরিচালকের অফিসে গিয়েছিলাম। চকলেটের প্যাকেট ভেঙে আমাকে অর্ধেক খেতে দেন। খাওয়ার ৭-৮ মিনিট পরেই আমার মাথা ভার হতে শুরু করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। অফিস থেকে বের হওয়ার পরেও তার পিছু নিয়েছিলেন সেই পরিচালক। অফিস থেকে বের হয়ে লিফটের সামনে গিয়ে বুঝতে পারছিলাম না কোন বাটনে চাপ দিলে নিচে নামব। সে সময় পরিচালক আমার পেছনে এসে বলল, ‘এখনো যাওনি? আসো ভেতরে এসে বসো। ’ আমি বললাম, ‘না আমাকে এখন যেতেই হবে। ’ লিফটে না গিয়ে রেলিং ধরে ধরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে লাগলাম। সেও আমার সঙ্গে সঙ্গে নামে। আমাকে বলে, ‘তুমি কোথায় যাবে?’ আমি কোনো একটা ঠিকানা বলার পর সে বলল, ‘আমিও যাব সেখানে। ’ সে হয়তো আমার জ্ঞান হারানোর অপেক্ষা করছিল। মনে হলো, আমার পালানো উচিত। অন্য কোথাও যাব বলে সেখান থেকে দ্রুত হেঁটে বের হয়ে এলাম।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত আমার এক বন্ধুর বাসায় যাই। সেখানে যাওয়ার পর আমার কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। ও আমায় বলল, ‘তুই তো ঠিক নাই। ’ পানি খেলাম। এরপর ও খাবারের অর্ডার দেয়। খাবার সামনে রেখেই ঘুমিয়ে পড়ি। ৪-৫ পাঁচ ঘণ্টা পর আমার ঘুম ভাঙে। এরপর সার্চ দিয়ে দেখলাম আমাকে যেটা খাওয়ানো হয়েছে সেটা এক ধরনের নেশাদ্রব্য।
রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’তে অংশ নিয়ে শোবিজে নাম লেখান সুমি। একই সময়ে অভিনয় করেন সালাহউদ্দিন লাভলুর নাটক ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’তে। এটি ছিল তার প্রথম নাটক। এরপর ‘পাপ পুণ্য’, ‘দামাল’সহ কয়েকটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।