গ্রেপ্তার করার সময় মাথায় আঘাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। আজ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তবে তার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন তদন্তকারী সংস্থা পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরো—ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) সদস্যরা।
আদালত চত্বরে ইমরান আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমি এনএবি সদস্যদের অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন আমাকে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেন। পরে ল্যান্ডফোনে বুশরার সঙ্গে কথা বলতে দেন তারা।’
এদিকে আজ আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় তার দুই সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ওই জামিন শুনানির জন্য এই আদালতে হাজির ছিলেন ইমরান খান।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দুর সঙ্গে ইমরানের আলাপচারিতার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ইমরানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি হাইকোর্টে বসেছিলাম। সেখানে থাকতে আমাকে গ্রেপ্তারের কোনো কারণই ছিল না। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার গ্রেপ্তার ঘিরে দেশটিতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিটিআইয়ের শত শত কর্মীকে।