রান্না করতে গিয়ে একবারও আগুনের ছ্যাঁকা লাগেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কখনো এই পোড়া সামান্য হতে পারে, আবার কখনো গুরুতর।
আর ছোটখাটো পোড়া যেমন ছ্যাঁকা লাগা, ফোসকা হওয়া কিংবা চামড়া ছিলে গেলে এসবের চিকিৎসা আপনি বাড়িতেই সেরে ফেলতে পারেন। সেজন্য কয়েকটি উপায় জেনে থাকা প্রয়োজন। তবে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
সরিষা: সরিষা বীজে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যালাইল আইসোথিওসায়ানেট রয়েছে। যা আক্রান্ত স্থানের ব্যথা কমায় ও রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করে।
১ টেবিল চামচ সরিষা বীজের সঙ্গে ১/২ টেবিল চামচ পানি ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন। পোড়া চামড়ায় পেস্টটি ঠিকভাবে লাগান। দিনে কমপক্ষে তিনবার ব্যবহার করুন।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা প্রদাহ কমায় ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধেও কাজ করে ফলে ক্ষত সারাতে, ফোসকা কমাতে ও দাগ সারিয়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। সমানভাবে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
মধু: প্রাকৃতিক এ অ্যান্টিবায়োটিকে পিএইচ রয়েছে, যা পুড়ে যাওয়া ক্ষতকে সংক্রমিত হতে দেয় না। এটি জ্বালাপোড়া কমায় ও এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২ চা চামচ মধু নিন। আক্রান্ত স্থানে মেখে রাখুন। ফল পেতে দিনে ৩ বার প্রয়োগ করুন।
টুথপেস্ট: টুথপেস্ট এ মিন্ট থাকায় এটি পোড়া অংশের ব্যথা কমায় ও ক্ষত মসৃণ করতে সাহায্য করে।
মিন্টযুক্ত সাদা টুথপেস্ট নিন। ক্ষত স্থানটি ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে এর চারপাশে পেস্ট মাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে দিনে তিনবার এটি করতে হবে।
টি-ব্যাগ: চা পাতায় প্রচুর পরিমাণে টনিক অ্যাসিড থাকে। যা পুড়ে যাওয়া স্থানের তাপ কমায়। এছাড়াও টি-ব্যাগ ক্ষত স্থানের ব্যথা ও যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
২-৩টি ব্যবহৃত টি-ব্যাগ নিন। ব্যবহারের পর ঠান্ডা ও ভেজা টি-ব্যাগটি আক্রান্ত স্থানের উপর রাখুন। ১০-১৫ মিনিট রাখতে গজ ব্যবহার করতে পারেন। দিনে কমপক্ষে দু’বার এভাবে করুন।
দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও প্রোটিন থাকে যা পোড়া ক্ষত শীতল ও নিরাময় করতে দ্রুত কাজ করে।
১/৪ কাপ ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা দুধ তুলোর মধ্যে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা ও পোড়া অনুভূতি না কমা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা পরপর এটি করুন।