রাজশাহীর বাগমারায় পুকুরের পানিতে ভাসছিল এক কিশোরের মরদেহ। সে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
এ সময় মৃতের চোখ এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এরপর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাষ্টনাংলা গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই কিশোরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে গতকাল শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাত থেকে নিখোঁজ ছিল। শনিবার পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মো. সবুজ (১৫) নামের ওই কিশোরের মরদেহ পাওয়া যায়। সবুজ পাশের মাধনগর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এবং স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পরিবার ও আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে যে, প্রেমঘটিত কারণে সবুজকে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করার সময় সবুজের চোখ এবং গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আর ঘটনাস্থলের পাশে একটি চেইন পাওয়া গেছে। আলামত সংগ্রহের পর এগুলো তদন্ত করা দেখা হচ্ছে। সবুজের শরীরে ঠিক কিসের আঘাত রয়েছে তা তারা এখন নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ ওই পুকুরে মাছও রয়েছে। পুকুরে থাকা বড় মাছের ঠোকরেও এই আঘাত হতে পারে।
ওসি আরও বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এর আগে তারাও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবেন। সবুজের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলেও জানান, বাগমারা থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।