২৩ দিন পর রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা উদ্ধার হয়েছেন। অপহরণের শিকার হয়ে ২৩ দিন পর তাকে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কাপ্তাই সেনাজোনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযানের মাধ্যমে আদোমংকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী সূত্রে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজস্থলী উপজেলার দুর্গম গাইন্ধ্যা ইউনিয়নের লংগদু পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমাকে উদ্ধার করে সেনা সদস্যরা।
চেয়ারম্যানের পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়, গত ২৫ আগস্ট সকালে নিজ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সম্মানীর টাকা উত্তোলনের জন্য বাড়ি থেকে উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে যান আদোমং মারমা। ফেরার পথে সন্তু লারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সশস্ত্র সদস্যরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে জানায় ও চন্দ্রঘোনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
গত ২৬ আগস্ট থেকে চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দিতে মুক্তিপণ চেয়ে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদেরকে কল করতে থাকে সন্ত্রাসীরা।
বিষয়টি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানলে অপহরণকারীদের অবস্থান সনাক্তকরণে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
চলতি বছরের গত ৭ এপ্রিল পিসিজেএসএসর সশস্ত্র সদস্যরা বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ক্যহ্লাচিং মারমা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইখ্যাইমং মারমাকে অপহরণ করে হত্যা করে। গত ২৬ জুন রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হ্লাথোয়াই মারমাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সম্প্রতি মংসুইউ মারমা ও মংসাথুইমালমা মারমা নামক স্থানীয় আরও ২ পাহাড়ি ব্যক্তিকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনটির বিরুদ্ধে।