চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চিকিৎসক থাকলেও বন্ধ ছিল বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টার।এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ রোগীরা।
জানা গেছে, অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসা বন্ধ থাকলেও চালু আছে জরুরি সেবা। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান পরিস্থিতি বিদ্যমান থাকবে বলে জানিয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক।
সরেজমিনে গিয়ে সকাল ৯টা থেকে টিকিট কাউন্টারের সামনে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকিট না পাওয়ায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না রোগীরা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
অবশ্য এর আগে সকাল ৮টার দিকে বহির্বিভাগে টিকিট পেয়ে কিছু রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে পেরেছেন। নয়টা বাজতেই সেবা বন্ধ হয়ে যায়।
ঝালকাঠি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম বেগম জানান, তিনি তার অসুস্থ নাতী নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু চিকিৎসকের সেবা নিতে পারেননি। মেডিকেল প্রশাসনের কাছে তার অনুরোধ, দ্রুত সমাধান করে রোগীদের ভোগান্তিমুক্ত করা হোক।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তাতে করে শেবাচিম ছিল অরক্ষিত। আমাদের নিরাপত্তায় কোনো বাহিনী আসেনি। এ কারণে আমরা এ কর্মসূচি পালন করছি। দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়েছে। তাই মানবিক কারণে জরুরি সেবাসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের সেবা চালু রেখেছি। এটি রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। কেন্দ্রীয়ভাবে যে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলামও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কথায় একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটি বাস্তবায়ন করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বরিশাল মেডিকেল এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ একমাত্র চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় মানবিক কারণে জরুরি সেবাসহ বেশ কয়েকটি বিভাগের চিকিৎসা সেবা চালু রেখেছি।